কঠিন চাপের ম্যাচে ঢাকার প্রতিপক্ষ বরিশাল

হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাওয়ার মতো কথা, ‘জনৈক দর্শক বলেন কি না সিলেট রয়্যালস নিরাপদে! তাদের কোন ভয় নেই!’ সত্যিই তো, মহাশূন্যে ভাসতে ভাসতে সিলেট শান্তনার জয় পেলো অষ্টম রাউন্ডের খেলায়। তারা এমন জায়গায় চলে গেছে যেখান থেকে ফেরারও উপায় নেই।

অতএব তাদেরকে বাদ রেখেই বিপিএল সেমিফাইনালের জন্য বাকি পাঁচ ফ্রেঞ্চাইজি নিয়ে আলোচনা। কোন দলটি পঞ্চম হচ্ছে যত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সেখানে। প্রতিদিনই পয়েন্ট তালিকার চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলস, দুরন্ত রাজশাহী, বরিশাল বার্নার্স, চিটাগং কিংস এবং ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকবে।

শুক্রবার চিটাগংয়ের কাছে ঢাকা হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনাল রসহস্যটা আরও ঘনিভূত হয়েছে। তবে তুলনামূলক দুরন্ত রাজশাহী এবং খুলনা রয়েল বেঙ্গলস সুবিধাজনক অবস্থায়। এই দুই দলের সেমিফাইনালে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। চিটাগং-ও একধাপ এগিয়েছে। সেদিক থেকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসই চাপে। তাদের বাকি দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ অনেক বেশি শক্তিশালী, শনিবার দুপুর ২টায় বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে এবং সোমবার একই সময়ে দুরন্ত রাজশাহীর বিপরীতে। বরিশাল এবং ঢাকার ম্যাচটি বাঁচামরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দল জিতবে সেমিফাইনালের পথে তারাই এগোবে।

চিটাগং শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলবে সিলেট রয়্যালসের বিপরীতে। এপর্যন্ত যা হয়েছে তা থেকে আগাম বলে দেওয়া যায় আরও দুই পয়েন্ট যোগ হচ্ছে চিটাগংয়ের পয়েণ্ট তালিকায়। লিগে চিটাগংয়ের শেষ ম্যাচ রোববার বরিশালের বিপরীতে। এই ম্যাচের দিকেও ঢাকাকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও সেমিফাইনালে যাওয়া নিয়ে খানিকটা চিন্তিত, ‘আমরা নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে দিলাম। ১২০ রান ছিলো মাত্র, আমরা চেজ করতে পারলাম না। তারপরেও আশাবাদি যে, এখনও আমাদের দুটি ম্যাচ আছে। যাদের বিপক্ষেই খেলি মানসিকভাবে অনেক স্ট্রং থাকতে হবে। যে কোন কিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে। একটাই কাজ যে, সবাই হাসি-খুশি থাকা এবং মাঠে এসে সেরা শট দেওয়া।’