আইনি আশ্রয় নিচ্ছে চিটাগং কিংস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেতে ব্যর্থ হওয়ায় বাইলজ লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের প্রস্ততি নিচ্ছে চিটাগং কিংস।

দলটির মালিক ও সিইও সামিউল কাদের চৌধুরী মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ।

চিটাগং কিংসের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা গ্লাডিয়েটরস, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ও দুরন্ত রাজশাহীর কর্মকর্তারা।

রাজধানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সামিউল চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘হয়তো বাজিকরদের কারসাজিতেই গভীর রাতে কৌশলে চিটাগং কিংসকে সেমিফাইনাল উঠতে দেওয়া হয়নি।’

এ বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বিপিএল জুয়ার আসর হয়ে উঠেছে। যেভাবে জুয়া ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠছে তাতে বাজিকরদের কারসাজিতেই আমাদের পিছিয়ে দেওয়া হলো কি না তা নিয়ে সন্দেহটা স্বাভাবিক।’

‘বিপিএলের বাইলজের ২১.৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে নিজেদের মধ্যে (হেড টু হেড) সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ী দল সেমিফাইনালে যাবে’ বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সামিউল বলেন, ‘এক্ষেত্রে ঢাকা গ্লাডিয়েটরস, বরিশাল বার্নার্স ও চিটাগং কিংসের পয়েন্ট সমান হয়। বিসিবির চিঠি অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ঢাকা গ্লাডিয়েটরস, চিটাগং কিংস ও বরিশালকে হারানোয় সেমিফাইনালের সুযোগ পেয়েছে। অথচ আমরাও তো ঢাকা ও বরিশালকে হারিয়েছি? সোমবার রাজশাহীর কাছে ঢাকা হেরে যাওয়ায় আমাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়। কারণ ঢাকা, বরিশাল ও চিটাগং প্রত্যেকের পয়েন্ট সমান ১০ করে হয়। কিন্তু হেড টু হেডে আমরা এগিয়ে যাই।’

তিনি বলেন, ‘বাইলজ অনুযায়ী আমাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় আমরা দ্রুত প্রস্তুতি নিই। স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য বাস রেডি করি, বিদেশি খেলোয়াড়রা সকালে ঢাকা এসে পৌছেন। কিন্ত রাতের আঁধারে সবকিছু পরিবর্তন হলো।’

সামিউল কাদের বলেন, ‘বাইলজ লঙ্ঘন করে চিটাগং কিংসকে সেমিফাইনাল খেলতে না দেওয়ার কারণে আইনজীবীদের সঙ্গে আমরা পরামর্শ করছি। এরই মধ্যে কেস ফাইল করতে যাওয়া হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে চিটাগং কিংসের সিইও সামিউল কাদের বলেন, ‘আমি অন্তত তিনবার ম্যাচ ফিক্সিং ও ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। ভারত থেকে ফোনে অফার পেয়েছি। সন্দেহ হচ্ছে এটা জুয়ার আসর হয়ে উঠেছে।’

‘বিপিএল কিভাবে চলছে’ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘মালিক হিসেবে আমি অন্ধকারে আছি। ক্রিকেট ও আমার দলের জন্য এটা ডিসগ্রেইস।’

এ ঘটনাকে ‘ ভেরী আনফরচুনেট’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম হিরা বলেন, ‘একটা দলকে একবার বলা হল সেমিফাইনালে উঠেছে। আবার পরে বলা হল নেই। তাদের এখন আইসিসিতে যাওয়া উচিত।’