অবৈতনিক ছুটি নিয়ে বিসিবি স্টাফরা বিপিএলে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কোচিং স্টাফ এবং অফিসিয়াল মিলে একটা বড় অংশই কাজ করছে বিপিএলে। সরাসরি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সঙ্গে জরিত বড় অংশটাই। অল্প সংখ্যক কাজ করছেন ফ্রেঞ্চাইজি দলে।

এখানে ফ্রেঞ্চাইজি দলে সম্পৃক্তরাই তূলনামূলক বেশি লাভবান হচ্ছেন। গ্রাউন্ডস, নিরাপত্তাসহ ভেন্যু সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে বিসিবির কর্মীদের বিশাল অংশগ্রহণ থাকলেও তাদের আর্থিক সুবিধা কম। তাদেরকে আবার পুষিয়ে দিচ্ছে বিসিবি ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন নিয়মিত রেখে।

যারা সরাসরি ফ্রেঞ্চাইজি দলে কাজ করছেন তাদেরকে বিসিবি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈতনিক ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাড়তি আয়ের সুযোগটা পাচ্ছেন তারা। জাতীয় দলের তিন নির্বাচক আকরাম খান বরিশাল বার্নার্স, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু চিটাগং কিংসে এবং হাবিবুল বাশার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

জাতীয় দলের ম্যানেজার জাহিদ রাজ্জাক মাসুম খুলনা রয়েল বেঙ্গলসে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সাব্বিার খান, বিসিবি ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার এবং কোচ মো. সোহেল বরিশাল বার্নার্সে কাজ করছেন। জাতীয় দলের ভিডিও পর্যালোচক নাসির আহমেদ এবং বিসিবি ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান, কোচ মিজানুর রহমান এবং সাইফুল ইসলাম চিটাগং কিংসে। বিসিবি লজিস্টিক সহকারী ম্যানেজার আরেফিনও ফ্রেঞ্চাইজি দলের কাজ করছেন।

বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বাংলানিউজকে জানান,‘যারা বাইরে কাজ করছেন তাদেরকে অবৈতনিক ছুটি দেওয়া হয়েছে। এখন কে কত টাকা আয় করছে সেটা আমরা বলতে পারবো না।’

আয় বেশি না হলে নিশ্চয়ই বিসিবি থেকে ছুটি নেওয়ার চিন্তা করতেন না বিসিবি স্টাফরা। যদিও জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল সিলেট রয়্যালস থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পাচ্ছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতই কত টাকা দেওয়া হচ্ছে তাকে সে বিষয়েও পরিষ্কার করা হয়নি সিলেট রয়্যালস থেকে। সিলেট ম্যানেজার ওয়াসিম খান জানিয়েছেন,‘১০ হাজার ডলার বেতন দেওয়া হচ্ছে স্টুয়ার্ট ল’কে।’

অথচ স্টুয়ার্ট ল বিসিবি থেকে মাসে প্রায় ২০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পান। তার অর্ধেক বেতনে নিশ্চয়ই সিলেট রয়্যালসে কাজ করবেন না তিনি!

বিপিএলে যারা কাজের সুযোগ পেয়েছেন তারা যেমন খুশি তেমনি যারা কাজ পাননি তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।