শুরুর আগেই ফিক্সিং নিয়ে তোলপাড়, মাশরাফিকে প্রস্তাব
Page 1 of 1
শুরুর আগেই ফিক্সিং নিয়ে তোলপাড়, মাশরাফিকে প্রস্তাব
বিস্ময় এবং লজ্জায় হতবাক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁকে কিনা জাতীয় দলের সাবেক এক ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিংয়ের সরাসরি প্রস্তাব দিয়ে বসেছেন! বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস অধিনায়ক তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। গতকাল এ ঘটনার সরাসরি স্বীকারোক্তি না দিলেও নিজ দলে স্পট ফিক্সিং ভাইরাস ধরা পড়লে ঢাকার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একরকম নিয়েই ফেলেছেন সদ্যই ইনজুরি থেকে ফেরা জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারটির নাম শুধু ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ম্যানেজমেন্টের চার সদস্যকেই জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই সূত্রে ঘটনার ব্যাপারে কাল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান, 'যা বলার আমি আমার টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে এ মুহূর্তে মিডিয়ায় কিছু বলার ইচ্ছা নেই। তবে হ্যাঁ, এক দুই ম্যাচ দেখার পর যদি বুঝতে পারি যে দলে এ রকম কিছু ঘটছে, তাহলে অধিনায়কত্ব করব না। ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের মতো কোনো ইস্যুতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা কখনো ছিল না, নেইও।'
সাবেক ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি মাশরাফির মুখ থেকে শোনার কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের উপদেষ্টা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, 'মাশরাফি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। তাই এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করব।' সিলেট রয়্যালসের ডিরেক্টর এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান বিস্মিত বাজিকরদের তালিকায় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারের জড়িয়ে পড়ার ঘটনায়, 'সাবেকদের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের একটা সুসম্পর্ক থাকে। তাই সহজে কনভিন্সও করা যায়। এ কারণেই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা খুবই উদ্বেগজনক।' আরেক সাবেক অধিনায়ক চিটাগাং কিংসের কোচ খালেদ মাহমুদ ঘটনা শুনে বিস্মিত এবং সতর্কও, 'টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই অফার আসতে শুরু করেছে! খুব মুশকিল এগুলো মোকাবিলা করা। তবে আশা করি আমার দলে সেরকম কেউ নেই।'
কিন্তু মাশরাফির প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব বিমানের হাসানুজ্জামান ঝরু চিন্তিত অন্য একটি কারণে, 'মাশরাফির ভাবমূর্তি অন্য রকম। এখন কেউ যদি ওকে অফার দিতে পারে, তাহলে অন্য আরো অনেকের কাছে প্রস্তাব যাওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।' স্পট ফিক্সিং করে সবার চোখকে ধুলো দিয়ে বিপুল অর্থের লোভ সম্বরণ করাও কঠিন। যেমন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফিকে কী ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাবেক ওই ক্রিকেটার। প্রিমিয়ারের একটি ম্যাচ শেষে বিমানের ড্রেসিংরুমে বসেই নাকি তিনি মাশরাফিকে বলেছিলেন, 'দেখো আমাদেরও কিছু উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিতে পারো। তুমি কেবলই ইনজুরি থেকে উঠে এসেছ। তাই তোমার খেলা না খেলা নিয়ে বাজি হবে। তুমি কি সানগ্লাস পরবে, নাকি পরবে না। এ রকম কিছু ব্যাপারে ম্যাচের আগে তোমার সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিব। ভেবো না যে আমি কোনো বেটিং সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে ম্যাচের সময় বাজি ধরি। আমার লাভের ১৫ শতাংশ তোমাকে দিব।' প্রস্তাবে বিমূঢ় মাশরাফি নাকি তাৎক্ষণিক ওই ক্রিকেটারকে 'না' বলে দিয়ে শুনিয়েছেন, 'আপনি কি করে ভাবলেন যে আমাকে দিয়ে এগুলো করানো যাবে?'
তবু ম্যাচ কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ক্রিকেটে ঘটেছে। হান্সি ক্রনিয়ে থেকে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন হয়ে সবশেষ স্পট ফিক্সিংয়ে কলঙ্কিত হয়েছেন মোহাম্মদ আমের আর আসিফের মতো প্রতিভা। একটা 'নো' বল কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে একটি বাজে শট খেলে আউট হলেই লাখপতি হওয়ার লোভের ফাঁদে পা দেন ক্রিকেটাররা। এদিকে একজন বোলার একবার ওভারস্টেপিং করতেই পারেন। ডাউন দ্য উইকেটে এসে কিংবা স্লগ সুইপ করে একজন ব্যাটসম্যান আউটও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনো প্রমাণ ছাড়া সরাসরি সেটিকে স্পট ফিক্সিং বলে রায় দেওয়া কি যায়? 'কঠিন। ম্যাচে হাজারটা চোখ দিয়েও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। আমরা আপনারা অনেক গুঞ্জন শুনি। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? এ ক্ষেত্রে এসব বন্ধ না হোক, কমানোর একটিই উপায়, সেটি সচেতনতা। খেলোয়াড়দের এর মন্দ দিকগুলো যত বেশি সম্ভব বোঝানো যায়, ততই মঙ্গল।'
মোবাইল ফোনের কললিস্ট দিয়ে অনায়াসে বাজিতে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে হাবিবুল বাশারের দুশ্চিন্তা, 'খুব সহজে সিম কার্ড পাওয়া যায় এ দেশে! তা ছাড়া নিজের ফোনের দরকার কি? কোনো আত্মীয় কিংবা বন্ধুর ফোনেও একজন ক্রিকেটার যোগাযোগ করতে পারে। তার পরও আমরা কিছু নজরদারি করব।' রুটিন কাজের বাইরে ক্রিকেটারদের গতিবিধিতে একটা 'চোখ' রাখার কথা জানিয়েছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ম্যানেজার এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক, 'বাজিকরদের টাকার অঙ্কটা এত বেশি যে ক্রিকেটারদের ওপর নজর না রেখে উপায় নেই'। খালেদ মাহমুদের পূর্ণ আস্থা আছে নিজের চোখের ওপর, 'মাঠের ক্রিকেটেও বোঝা যায়। যেমন রিয়াদের (মাহমুদ উল্লাহ) খেলার ধরন আমি এতটাই জানি যে, ও এ রকম কিছু করলে আমার চোখে ধরা পড়ে যাবে।'
চোখে ধরা পড়ে। কিন্তু তার ওপর ভিত্তি করে কি আর ব্যবস্থা নেওয়া যায়? তেমনটি হলে তো এবারের প্রিমিয়ার লিগে একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাস্তির মুখোমুখি হতেন! বিপক্ষ দলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দলকে ডুবানোর অসংখ্য ঘটনা জনশ্রুতি হয়ে আছে। তেমন একজন, তারেক মেহমুদকে তো লিগের মাঝপথে দল থেকে বহিষ্কারও করেছিল ধানমণ্ডি। তাই বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে মূল ভীতি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ঘিরেই। যে দলে এ দেশটির ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি, সে দলের তত ভয়! অবশ্য বাতাসে গুঞ্জন, মাশরাফির আগে-পরে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গেছে আরো অনেক দেশি ক্রিকেটারের কাছেও। সে টোপ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি গিলে ফেলার গুঞ্জনও আছে।
* সাবেকদের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের একটা সুসম্পর্ক থাকে। তাই সহজে কনভিন্সও করা যায়। এ কারণেই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা খুবই উদ্বেগজনক।'
নাঈমুর রহমান
* মাশরাফি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। তাই এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করব।
হাবিবুল বাশার
* টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই অফার আসতে শুরু করেছে! খুব মুশকিল এগুলো মোকাবিলা করা। তবে আশা করি আমার দলে সেরকম কেউ নেই।
খালেদ মাহমুদ
[justify]জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারটির নাম শুধু ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ম্যানেজমেন্টের চার সদস্যকেই জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই সূত্রে ঘটনার ব্যাপারে কাল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান, 'যা বলার আমি আমার টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে এ মুহূর্তে মিডিয়ায় কিছু বলার ইচ্ছা নেই। তবে হ্যাঁ, এক দুই ম্যাচ দেখার পর যদি বুঝতে পারি যে দলে এ রকম কিছু ঘটছে, তাহলে অধিনায়কত্ব করব না। ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের মতো কোনো ইস্যুতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা কখনো ছিল না, নেইও।'
সাবেক ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি মাশরাফির মুখ থেকে শোনার কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের উপদেষ্টা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, 'মাশরাফি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। তাই এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করব।' সিলেট রয়্যালসের ডিরেক্টর এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান বিস্মিত বাজিকরদের তালিকায় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারের জড়িয়ে পড়ার ঘটনায়, 'সাবেকদের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের একটা সুসম্পর্ক থাকে। তাই সহজে কনভিন্সও করা যায়। এ কারণেই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা খুবই উদ্বেগজনক।' আরেক সাবেক অধিনায়ক চিটাগাং কিংসের কোচ খালেদ মাহমুদ ঘটনা শুনে বিস্মিত এবং সতর্কও, 'টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই অফার আসতে শুরু করেছে! খুব মুশকিল এগুলো মোকাবিলা করা। তবে আশা করি আমার দলে সেরকম কেউ নেই।'
কিন্তু মাশরাফির প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব বিমানের হাসানুজ্জামান ঝরু চিন্তিত অন্য একটি কারণে, 'মাশরাফির ভাবমূর্তি অন্য রকম। এখন কেউ যদি ওকে অফার দিতে পারে, তাহলে অন্য আরো অনেকের কাছে প্রস্তাব যাওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।' স্পট ফিক্সিং করে সবার চোখকে ধুলো দিয়ে বিপুল অর্থের লোভ সম্বরণ করাও কঠিন। যেমন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফিকে কী ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাবেক ওই ক্রিকেটার। প্রিমিয়ারের একটি ম্যাচ শেষে বিমানের ড্রেসিংরুমে বসেই নাকি তিনি মাশরাফিকে বলেছিলেন, 'দেখো আমাদেরও কিছু উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিতে পারো। তুমি কেবলই ইনজুরি থেকে উঠে এসেছ। তাই তোমার খেলা না খেলা নিয়ে বাজি হবে। তুমি কি সানগ্লাস পরবে, নাকি পরবে না। এ রকম কিছু ব্যাপারে ম্যাচের আগে তোমার সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিব। ভেবো না যে আমি কোনো বেটিং সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে ম্যাচের সময় বাজি ধরি। আমার লাভের ১৫ শতাংশ তোমাকে দিব।' প্রস্তাবে বিমূঢ় মাশরাফি নাকি তাৎক্ষণিক ওই ক্রিকেটারকে 'না' বলে দিয়ে শুনিয়েছেন, 'আপনি কি করে ভাবলেন যে আমাকে দিয়ে এগুলো করানো যাবে?'
তবু ম্যাচ কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ক্রিকেটে ঘটেছে। হান্সি ক্রনিয়ে থেকে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন হয়ে সবশেষ স্পট ফিক্সিংয়ে কলঙ্কিত হয়েছেন মোহাম্মদ আমের আর আসিফের মতো প্রতিভা। একটা 'নো' বল কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে একটি বাজে শট খেলে আউট হলেই লাখপতি হওয়ার লোভের ফাঁদে পা দেন ক্রিকেটাররা। এদিকে একজন বোলার একবার ওভারস্টেপিং করতেই পারেন। ডাউন দ্য উইকেটে এসে কিংবা স্লগ সুইপ করে একজন ব্যাটসম্যান আউটও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনো প্রমাণ ছাড়া সরাসরি সেটিকে স্পট ফিক্সিং বলে রায় দেওয়া কি যায়? 'কঠিন। ম্যাচে হাজারটা চোখ দিয়েও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। আমরা আপনারা অনেক গুঞ্জন শুনি। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? এ ক্ষেত্রে এসব বন্ধ না হোক, কমানোর একটিই উপায়, সেটি সচেতনতা। খেলোয়াড়দের এর মন্দ দিকগুলো যত বেশি সম্ভব বোঝানো যায়, ততই মঙ্গল।'
মোবাইল ফোনের কললিস্ট দিয়ে অনায়াসে বাজিতে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে হাবিবুল বাশারের দুশ্চিন্তা, 'খুব সহজে সিম কার্ড পাওয়া যায় এ দেশে! তা ছাড়া নিজের ফোনের দরকার কি? কোনো আত্মীয় কিংবা বন্ধুর ফোনেও একজন ক্রিকেটার যোগাযোগ করতে পারে। তার পরও আমরা কিছু নজরদারি করব।' রুটিন কাজের বাইরে ক্রিকেটারদের গতিবিধিতে একটা 'চোখ' রাখার কথা জানিয়েছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ম্যানেজার এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক, 'বাজিকরদের টাকার অঙ্কটা এত বেশি যে ক্রিকেটারদের ওপর নজর না রেখে উপায় নেই'। খালেদ মাহমুদের পূর্ণ আস্থা আছে নিজের চোখের ওপর, 'মাঠের ক্রিকেটেও বোঝা যায়। যেমন রিয়াদের (মাহমুদ উল্লাহ) খেলার ধরন আমি এতটাই জানি যে, ও এ রকম কিছু করলে আমার চোখে ধরা পড়ে যাবে।'
চোখে ধরা পড়ে। কিন্তু তার ওপর ভিত্তি করে কি আর ব্যবস্থা নেওয়া যায়? তেমনটি হলে তো এবারের প্রিমিয়ার লিগে একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাস্তির মুখোমুখি হতেন! বিপক্ষ দলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দলকে ডুবানোর অসংখ্য ঘটনা জনশ্রুতি হয়ে আছে। তেমন একজন, তারেক মেহমুদকে তো লিগের মাঝপথে দল থেকে বহিষ্কারও করেছিল ধানমণ্ডি। তাই বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে মূল ভীতি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ঘিরেই। যে দলে এ দেশটির ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি, সে দলের তত ভয়! অবশ্য বাতাসে গুঞ্জন, মাশরাফির আগে-পরে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গেছে আরো অনেক দেশি ক্রিকেটারের কাছেও। সে টোপ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি গিলে ফেলার গুঞ্জনও আছে।
* সাবেকদের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের একটা সুসম্পর্ক থাকে। তাই সহজে কনভিন্সও করা যায়। এ কারণেই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা খুবই উদ্বেগজনক।'
নাঈমুর রহমান
* মাশরাফি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। তাই এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করব।
হাবিবুল বাশার
* টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই অফার আসতে শুরু করেছে! খুব মুশকিল এগুলো মোকাবিলা করা। তবে আশা করি আমার দলে সেরকম কেউ নেই।
খালেদ মাহমুদ
Similar topics
» স্পট ফিক্সিং অস্বীকার করেছেন ক্রিকেটার শরিফুল
» স্পট ফিক্সিং : পাকিস্তানি নাগরিক সাজিদ রিমান্ডে
» শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে সব শঙ্কা দূর
» অবৈতনিক ছুটি নিয়ে বিসিবি স্টাফরা বিপিএলে
» নিলাম নিয়ে রোমাঞ্চিত ক্রিকেটাররা বৃহস্পতিবার বিপিএলের খেলোয়াড়দের নিলাম
» স্পট ফিক্সিং : পাকিস্তানি নাগরিক সাজিদ রিমান্ডে
» শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে সব শঙ্কা দূর
» অবৈতনিক ছুটি নিয়ে বিসিবি স্টাফরা বিপিএলে
» নিলাম নিয়ে রোমাঞ্চিত ক্রিকেটাররা বৃহস্পতিবার বিপিএলের খেলোয়াড়দের নিলাম
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|
Wed Nov 23, 2022 4:37 pm by Admin
» Sylhet Strikers - 2023 Squad
Mon Nov 07, 2022 3:19 am by Admin
» Fortune Barishal - Full Squad
Tue Nov 01, 2022 7:04 am by Admin
» Rivals: Dhaka Dynamites v Rangpur Riders thing
Fri Nov 03, 2017 4:04 am by Admin
» Adam Zampa confirmed by Sylhet Surma Sixers
Sun Aug 13, 2017 10:06 am by Admin
» Jos Buttler to be paid 2 crore in BPL
Fri Aug 11, 2017 11:11 pm by Admin
» Ticket price of this year’s BPL will be lower
Fri Aug 11, 2017 7:40 pm by Admin
» Sylhet all set to arrange BPL 2017
Fri Aug 11, 2017 7:29 pm by Admin
» Jos Buttler to play the full season of BPL’5 for Comilla Victorians
Fri Aug 11, 2017 8:57 am by Admin