প্রতিযোগিতা জমিয়ে দিলো বরিশাল

ময়দানী লড়াই শেষপর্যন্ত গড়িয়েছে অঙ্কের হিসেবে। বিপিএলের এমন সমীকরণে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে রোববার। চিটাগং কিংস বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে জিতলে অঙ্কের সমাধান হয়ে যেতো। হয়েছে উল্টো। তারা ৫ উইকেটে কিংসকে হারিয়ে জিইয়ে রেখেছে সেমিফাইনালের আশা।

চিটাগং কিংস ইনিংস: ১৫০/৯ (ওভার ২০)
বরিশাল বার্নার্স ইনিংস: ১৫১/৫ (ওভার ১৫)
ফল: বরিশাল ৫ উইকেট জয়ী

শুরুটা রাজার মতো শেষ দিকে দ্রারিদ্যের ছোঁয়া। বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এ বাক্যেরই বাস্তবায়ন ঘটায় চিটাগং কিংস। শেষ দিকে বরিশালের বোলিংয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় বড় স্কোর গড়তে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল।

চার-ছয়ের ফুরায়া ঝরিয়ে যেভাবে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জিয়াউর রহমান। ৫১ রানে জুটি ভাঙ্গার পরই বিপরীত চিত্র দেখেছেন দর্শকরা। ব্যক্তিগত ২৪ রানে আল আমীনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জিয়াউর।

এরপরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রয় (৪২), ব্রেন্ডন টেলর (২৫), ডোয়াইন ব্রাভো (২৬) ও নাসির জামশেদ (১১)। তাদের বিদায়ের পর ধুঁকতে থাকে কিংস। ইয়াসির আরাফাত ও নাজমুল ইসলামের মারাত্মক বোলিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন ব্যাটসম্যানরা। একে একে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ (৩), জহুরুল ইসলাম (০), ফরহাদ রেজা (৫) ও কুপার (০)। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে কিংস। তিনটি উইকেট নেন ইয়াসির। এছাড়া দুই উইকেট শিকার করেন নাজমুল ইসলাম।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রথম দিকের অগ্নিগর্ভ বরিশাল বার্নার্সকেই ফিরিয়ে এনেছেন ব্যাটসম্যানরা। ক্রিস গেইলবিহীন বরিশাল যেন প্রাণহীন। চোট পেয়ে এই ক্যারিবিয় বিদায় নেওয়ার পর এমন রূপেই প্রতিযোগিতায় আবির্ভূত হয় তারা। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষ ম্যাচে পুরনো বরিশালকেই দেখেছে কিংস।

উদ্বোধনী জুটির ব্যাটিং তান্ডবে নাস্তানাবুদ হয় কিংসের বোলাররা। ১০৯ রানে জুটিতে ভাঙ্গন ধরাতে পারলেও বরিশালের রানের গতি থামাতে পারেনি কিংস। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে এনামুল হকের এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন আহমেদ শেহজাদ।

শেষপর্যন্ত অধিনায়ক ব্রাড হজের ৬৭ ও ফিলিপ মাস্টার্ডের ২৪ রানের সুবাদে পাঁচ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য টপকে যায় বরিশাল বার্নার্স। তখনো বাকি ছিলো ৩০ বল।