বিপিএলেও রাজত্ব পাকিস্তানিদের
Page 1 of 1
বিপিএলেও রাজত্ব পাকিস্তানিদের
সবাই ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁর নামের প্রথমাংশ 'ইয়াসিন'। তবু কিছুটা সংশয় থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক স্কোরার গেলেন তাঁর কাছে। বিভ্রান্তি দূর করার জন্য তিনি বের করে দিলেন তাঁর ভিজিটিং কার্ড। যেখানে লেখা তাঁর ব্যবসায়িক পরিচয়। কানসি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ক্রীড়া সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানের পরিচালক 'ইয়াসিম' মর্তুজার সর্বোচ্চ ক্রিকেটীয় সাফল্য পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অবশিষ্ট একাদশে ঠাঁই পাওয়া। অথচ ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসে অখ্যাত এ পাকিস্তানিই রীতিমতো দুর্বার। শিয়ালকোটের এ তরুণ লিগের প্রথম পর্ব শেষে সবাইকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মোহামেডানের হয়ে ১০ ম্যাচ খেলে নিজের বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ২৪ উইকেট।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের খোঁজখবর যাঁরা নিয়মিত রাখেন, তাঁদের কাছে অবশ্য এটা মোটেও বিস্ময়জাগানিয়া কোনো তথ্যের মর্যাদা পাবে না। কারণ ঢাকার লিগ এমন এক আসর যেটা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরই নৈপুণ্যভাস্বর। তা তাঁরা যে পর্যায়েরই ক্রিকেটার হন না কেন। দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনের পর এখন কোচ হিসেবেও তাই দেখে আসছেন খালেদ মাহমুদ, 'পাকিস্তানিরা এখানে সব সময়ই ভালো খেলে। অনেক আগে থেকেই।' এখানে অতি সাধারণ মানের ক্রিকেটাররাও অনেক সময় বড় দলের ভাগ্যে বিপর্যয় ডেকে আনেন। সপ্তাহখানেক আগেই যেমন রেলিগেশনের খক্ষ মাথায় নিয়ে নামা কলাবাগানকে ভিক্টোরিয়ার মতো বড় আর তারকাবহুল দলের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছে রিফাতউল্লাহ'র অপরাজিত সেঞ্চুরি।
প্রতিবার তাই লিগের ব্যাটসম্যান আর বোলারদের সেরা দশে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানির উপস্থিতি থাকেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) সে ধারা মেনেই এগোচ্ছে যেন। প্রথম তিন দিনের ব্যাট-বলের লড়াই অন্তত তেমন বার্তাই দিচ্ছে। আর এ আসরেও ব্যাট হাতে সফলদের অন্যতম ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ও সফল পারফরমার নাসির জামশেদ। পাকিস্তানের হয়ে ১২টি ওয়ানডে খেলা এ ওপেনার কাল খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের বিপক্ষে খেলেছেন ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। চট্টগ্রাম কিংসের প্রথম ম্যাচেও দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ৩৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে শুরু করেছিলেন তাঁর বিপিএল অভিযান। টানা দুই ম্যাচে পারফরম করার রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাল বলছিলেন, 'এখানে আমি চার বছর ধরে ক্লাব ক্রিকেটে খেলছি। সে অভিজ্ঞতাও এ টুর্নামেন্টে পারফরম করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।'
এখানে তাঁর 'অভিভাবক' খালেদ মাহমুদের কথাও বললেন। চলতি ক্রিকেট মৌসুমে প্রাইম ব্যাংক ওল্ড ডিওএইচএস দলে বাংলাদেশ দলের এ সাবেক অধিনায়ককে পেয়েছেন কোচ হিসেবে। চট্টগ্রাম কিংস দলেও তাঁকে পাওয়া মাহমুদ বিস্মিত অন্য কারণে, 'ও যখন পাকিস্তান একাডেমীর খেলোয়াড় ছিল, তখন থেকেই ওকে চিনি। আমাকে খুব পছন্দ করে। যে জন্য আমি যে দলে বলি, সেই দলেই খেলে। গত মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে ওর গড় ছিল ৯৯। এবার ৩ ম্যাচে ৬০-এর মতো। স্পিনটা খুব ভালো সামলাতে জানে। আর "পাওয়ার"ও আছে। পাকিস্তান দলে যে ও কেন নেই, সেটাই আমি বুঝি না। আমি মনে করি পাকিস্তান দল ওকে নিতে দেরি করছে।"
বিপিএল দিয়েই দলে ফেরার সময় ঘনিয়ে আনতে চান নাসিরও, 'পাকিস্তানে জিও টিভিতে বিপিএল দেখাচ্ছে। নির্বাচকরাও বিপিএলের পারফরম্যান্সে নজর রাখছেন বলে জানি। দেখা যাক, বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে এশিয়া কাপের দলে জায়গা করে নিতে পারি কি না।' তবে বিপিএলে কম যাচ্ছেন ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলা আহমেদ শেহজাদও। বরিশাল বার্নার্সের হয়ে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ক্রিস গেইল-ঝড়ে আড়াল হয়ে থাকলেও দলকে ১০ উইকেটের অনায়াস জয় এনে দেওয়ায় তাঁর অবদান ছিল ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রান। দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে পরের ম্যাচেও ৪০ বলে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস। বিপিএলে ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেলদের মতো সফলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন তাঁরাও।
আর ক্লাব ক্রিকেটে তো পাকিস্তানিরা তুলনাহীন। যেখানে খুব সাধারণ হয়েও তাঁরা হয়ে উঠতে জানেন অসাধারণ। এ জন্যই ক্লাবগুলো মিছিল করিয়ে নিয়ে আসে পাকিস্তানিদের। তাঁদের সাফল্যের এ রসায়নই খুঁজে পান মাহমুদ, 'আমাদের দেশের উইকেট ওরা খুব ভালো অ্যাডজাস্ট করে ফেলে। স্পিন খুব ভালো খেলে। পাকিস্তানের সব খেলোয়াড় কিন্তু ভালো খেলে না। যারা স্পিনারদের ভালো খেলে তারা এখানে সফল হয়। নাসির যেমন খুব ভালো স্পিন খেলে।' সেই সঙ্গে এ পর্যবেক্ষণও জানাতে ভুললেন না, 'তা ছাড়া ওরা নিজেদের দেশে যে কোয়ালিটির ফাস্ট বোলিং খেলে আসে, এখানে এসে ফাস্ট বোলারদের খুব সহজেই খেলে। তার ওপর যারা স্পিন ভালো খেলে তারা তো এমনিতেই পারফরম করে।' তবে ব্যাটসম্যানরাই শুধু নন, বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারদের মিছিলেও সামনের মুখ হয়ে যেতে পারেন ইয়াসিম মর্তুজার মতো কেউ।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের খোঁজখবর যাঁরা নিয়মিত রাখেন, তাঁদের কাছে অবশ্য এটা মোটেও বিস্ময়জাগানিয়া কোনো তথ্যের মর্যাদা পাবে না। কারণ ঢাকার লিগ এমন এক আসর যেটা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরই নৈপুণ্যভাস্বর। তা তাঁরা যে পর্যায়েরই ক্রিকেটার হন না কেন। দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনের পর এখন কোচ হিসেবেও তাই দেখে আসছেন খালেদ মাহমুদ, 'পাকিস্তানিরা এখানে সব সময়ই ভালো খেলে। অনেক আগে থেকেই।' এখানে অতি সাধারণ মানের ক্রিকেটাররাও অনেক সময় বড় দলের ভাগ্যে বিপর্যয় ডেকে আনেন। সপ্তাহখানেক আগেই যেমন রেলিগেশনের খক্ষ মাথায় নিয়ে নামা কলাবাগানকে ভিক্টোরিয়ার মতো বড় আর তারকাবহুল দলের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছে রিফাতউল্লাহ'র অপরাজিত সেঞ্চুরি।
প্রতিবার তাই লিগের ব্যাটসম্যান আর বোলারদের সেরা দশে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানির উপস্থিতি থাকেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) সে ধারা মেনেই এগোচ্ছে যেন। প্রথম তিন দিনের ব্যাট-বলের লড়াই অন্তত তেমন বার্তাই দিচ্ছে। আর এ আসরেও ব্যাট হাতে সফলদের অন্যতম ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ও সফল পারফরমার নাসির জামশেদ। পাকিস্তানের হয়ে ১২টি ওয়ানডে খেলা এ ওপেনার কাল খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের বিপক্ষে খেলেছেন ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। চট্টগ্রাম কিংসের প্রথম ম্যাচেও দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ৩৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে শুরু করেছিলেন তাঁর বিপিএল অভিযান। টানা দুই ম্যাচে পারফরম করার রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাল বলছিলেন, 'এখানে আমি চার বছর ধরে ক্লাব ক্রিকেটে খেলছি। সে অভিজ্ঞতাও এ টুর্নামেন্টে পারফরম করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।'
এখানে তাঁর 'অভিভাবক' খালেদ মাহমুদের কথাও বললেন। চলতি ক্রিকেট মৌসুমে প্রাইম ব্যাংক ওল্ড ডিওএইচএস দলে বাংলাদেশ দলের এ সাবেক অধিনায়ককে পেয়েছেন কোচ হিসেবে। চট্টগ্রাম কিংস দলেও তাঁকে পাওয়া মাহমুদ বিস্মিত অন্য কারণে, 'ও যখন পাকিস্তান একাডেমীর খেলোয়াড় ছিল, তখন থেকেই ওকে চিনি। আমাকে খুব পছন্দ করে। যে জন্য আমি যে দলে বলি, সেই দলেই খেলে। গত মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে ওর গড় ছিল ৯৯। এবার ৩ ম্যাচে ৬০-এর মতো। স্পিনটা খুব ভালো সামলাতে জানে। আর "পাওয়ার"ও আছে। পাকিস্তান দলে যে ও কেন নেই, সেটাই আমি বুঝি না। আমি মনে করি পাকিস্তান দল ওকে নিতে দেরি করছে।"
বিপিএল দিয়েই দলে ফেরার সময় ঘনিয়ে আনতে চান নাসিরও, 'পাকিস্তানে জিও টিভিতে বিপিএল দেখাচ্ছে। নির্বাচকরাও বিপিএলের পারফরম্যান্সে নজর রাখছেন বলে জানি। দেখা যাক, বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে এশিয়া কাপের দলে জায়গা করে নিতে পারি কি না।' তবে বিপিএলে কম যাচ্ছেন ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলা আহমেদ শেহজাদও। বরিশাল বার্নার্সের হয়ে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ক্রিস গেইল-ঝড়ে আড়াল হয়ে থাকলেও দলকে ১০ উইকেটের অনায়াস জয় এনে দেওয়ায় তাঁর অবদান ছিল ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রান। দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে পরের ম্যাচেও ৪০ বলে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস। বিপিএলে ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেলদের মতো সফলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন তাঁরাও।
আর ক্লাব ক্রিকেটে তো পাকিস্তানিরা তুলনাহীন। যেখানে খুব সাধারণ হয়েও তাঁরা হয়ে উঠতে জানেন অসাধারণ। এ জন্যই ক্লাবগুলো মিছিল করিয়ে নিয়ে আসে পাকিস্তানিদের। তাঁদের সাফল্যের এ রসায়নই খুঁজে পান মাহমুদ, 'আমাদের দেশের উইকেট ওরা খুব ভালো অ্যাডজাস্ট করে ফেলে। স্পিন খুব ভালো খেলে। পাকিস্তানের সব খেলোয়াড় কিন্তু ভালো খেলে না। যারা স্পিনারদের ভালো খেলে তারা এখানে সফল হয়। নাসির যেমন খুব ভালো স্পিন খেলে।' সেই সঙ্গে এ পর্যবেক্ষণও জানাতে ভুললেন না, 'তা ছাড়া ওরা নিজেদের দেশে যে কোয়ালিটির ফাস্ট বোলিং খেলে আসে, এখানে এসে ফাস্ট বোলারদের খুব সহজেই খেলে। তার ওপর যারা স্পিন ভালো খেলে তারা তো এমনিতেই পারফরম করে।' তবে ব্যাটসম্যানরাই শুধু নন, বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারদের মিছিলেও সামনের মুখ হয়ে যেতে পারেন ইয়াসিম মর্তুজার মতো কেউ।
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|
Wed Nov 23, 2022 4:37 pm by Admin
» Sylhet Strikers - 2023 Squad
Mon Nov 07, 2022 3:19 am by Admin
» Fortune Barishal - Full Squad
Tue Nov 01, 2022 7:04 am by Admin
» Rivals: Dhaka Dynamites v Rangpur Riders thing
Fri Nov 03, 2017 4:04 am by Admin
» Adam Zampa confirmed by Sylhet Surma Sixers
Sun Aug 13, 2017 10:06 am by Admin
» Jos Buttler to be paid 2 crore in BPL
Fri Aug 11, 2017 11:11 pm by Admin
» Ticket price of this year’s BPL will be lower
Fri Aug 11, 2017 7:40 pm by Admin
» Sylhet all set to arrange BPL 2017
Fri Aug 11, 2017 7:29 pm by Admin
» Jos Buttler to play the full season of BPL’5 for Comilla Victorians
Fri Aug 11, 2017 8:57 am by Admin